পবিত্র কোরআনের উপদেশ বাণী – ছোট ছোট হাদিসের বাণী যে ব্যক্তি আল্লাহ’র উপর প্রবল বিশ্বাস রাখে, আল্লাহ তার ইচ্ছা অপূর্ণ রাখে না। আল্লাহই সর্ব বিষয়ের ক্ষমতার অধিকারী…
আল্লাহ তা’আলার ভয়ে, তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে। আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে ভালো কিছু অবশ্যই দান করবেন –
কোরআনের ছোট ছোট বাণী
সম্পূর্ণ কোরআন শরীফের অক্ষর গুলো – দেখতে কালো।
কিন্তু এর ভিতরে লুকিয়ে আছে – হেয়াতের আলো।
কোরান বুঝে পড়লেও সওয়ার,
কোরান না বুঝে পড়লেও সওয়ার, কোরান পড়া শুনলেও সওয়ার।
সকল মুসলমান একে অপরের প্রতি পাঁচটি অধিকার রাখেন – পবিত্র কোরআনের উপদেশ বাণী
- সালামের জবাব দেওয়া।
- অসুস্থ হলে একে অপরকে দেখতে যাওয়া।
- জানাযার নামাজের নিয়ত অংশ গ্রহণ করা।
- কেউ দাওয়াত দিলে তা কবুল করা।
- কেউ হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।
পৃথিবীর সমস্ত গাছ পালাকে যদি, কলম বানানো হয়।
আর সমস্ত মহাসাগরকে যদি, কালি বানানো হয় –
তবুও আল্লাহর গুণগান শেষ করা যাবে না।
বই পড়লে চোখের জ্যোতি কমে,
আর কোরআনের উপদেশ বাণী পড়লে,
আল্লাহ তা’আলা চোখের জ্যোতি আরও বাড়িয়ে দেন।
গোপনে পাপ করলে মানুষ,
তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যায়,
আর গোপনে ইবাদত করলে মানুষ শ্রেষ্ঠ হয়ে যায়।
ভালো তো তাকেই বাসা উচিত,
যে নামাজ পড়ার জন্য ঝগড়া করবে।
বাস্তবে যার চরিত্র যেমন – তার জীবন সঙ্গীও হবে তেমন।
কোরআনের উপদেশ বাণী
সমাজ :- আগে প্রতিষ্ঠিত হও, তার পরে বিয়ে করো।
কুরআন :- আগে বিয়ে করো, গরীব হলে প্রতিষ্ঠিত করার দ্বায়িত আল্লাহর।
জ্ঞানী হতে হাজারটা বই, লাগেনা আল কোরআন -ই যথেষ্ঠ।
একমাত্র পবিত্র কোরআন-ই পারে অশান্ত মনকে শান্ত করতে।
দিনের আলোতে এমন কাজ করো না,
যাতে রাতের ঘুম নষ্ট হয়।
আর রাতের অন্ধকারে এমন কাজ করো না,
যাতে দিনের আলোতে মুখ লুকিয়ে থাকতে হয়।
পাঁচটি কথায় সকল চাওয়া আল্লাহ তা’আলা কাছে
- হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন।
- আমাকে রহমত করুন।
- আমাকে হেদায়াত করুন।
- আমাকে রিজিক দান করুন।
- আমাকে সুস্থতা দেন করুন
বন্ধুত্ব নিয়ে কোরআনের বাণী
তুমি এমন একজন জীবন সঙ্গী কর !
যে তোমাকে দুনিয়া থেকে,
ভালো বাসতে বাসতে জান্নাত পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
”দোয়ার শক্তি এত বেশি যে –
বান্দার তাকদির পর্যন্ত বদলে দিতে পারে। ”
”দেহের শান্তিটা ঔষধের দোকানে থাকলেও,
মনের শান্তিটা কিন্তু পবিত্র আল-কোরানেই আছে।”
সত্য বলার কারণে,
যদি তোমার চার পাশটা খালি হয়ে যায়
তাহলে বুঝে নিও তুমি কিছু ,আবর্জনাকে আগলে রেখে ছিলে।
যদি কোনো ব্যক্তি তোমাকে গালিগালাজ করে করে,
তাহলে তুমি তার প্রতি উত্তর দিও না।
কারণ তখন তোমার হয়ে ফেরেশতারা উত্তর দেয়।
তিন জিনিসের দিকে তাকালেই সওয়ার
১) কোরআন
২) মা -বাবার চেহারা
৩) আল্লাহর কাবা।
পবিত্র কোরআনের বাণী
পবিত্র রমজান মাসে কারো,
পরিবর্তন দেখে হাসা হাসি করবেন না।
কারন – রমজান আসে পরিবর্তন এর জন্য।
ঈদ নিয়ে কোরআনের বাণী –
যখন রমজান মাস আসে,
তখন জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়।
জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়,
আর শয়তান দেরকে বেঁধে রাখা হয়।
নবীজি বলেছেন –
রোজাদারের জন্য সব চেয়ে খুশির সংবাদ হলো,
হাশরের মাঠে আল্লাহ সবার আগে,
রোজাদারের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
মাটি থেকেই তৈরি আমরা,
মাটিতেই মিশে যাবো,
কান্না করে এসেছি পৃথিবীতে,
প্রিয়জনদের কাঁদিয়ে চলে যাবো। – কুরানের শ্রেষ্ঠ বাণী
যখন কোনো কিছু বলতে না পারো,
তখন কান্না করে নিও,
কেননা আল্লাহ তো সবই জানেন। – কোরআনের বাণী বাংলা
মৃত্যুর পর কবরের চার বন্ধু
১) কোরআন
২) নামাজ
৩) রোজা
৪) নেক আমল।
মাকে নিয়ে ইসলামিক উক্তি
সকলের কাছে অনুরোধ কেউ মা কে কখনো কষ্ট দিওনা।
মায়ের একটি হাসি ৮ টি জান্নাতের সমান।
- ”মা ‘‘ দিয়ে মাসজিদ
- ”মা ” দিয়ে মাক্কা
- ”মা” দিয়ে মাদিনা
- ‘‘মা ” দিয়ে মাদ্রাসা
- ”মা ” দিয়ে মাবুদ আল্লাহ
বিনা কারনে কোনো পুরুষের জন্য,
নারীর চোখের এক ফোটা পানিও পরে।
তবে ফেরেশ তারা ওই পুরুষকে তার,
প্রতিটি পদক্ষেপ অভিশাপ দিবে।
যখন কেউ ইফতার করবে,
তখন সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে ,
যদি সে তা না পায়
তাহলে পানি দ্বারা ইফতার করবে,
কেননা সেটা পবিত্র কারী।
মেয়েদের নিয়ে ইসলামিক উক্তি
- নারী যখন কন্যা ,তখন সে আল্লাহর রহমত।
- নারী যখন বোন ,তখন সে আল্লাহর নিয়ামত।
- নারী যখন স্ত্রী ,তখন সে স্বামীর আমানত।
- নারী যখন মা , তখন সে সন্তানের জান্নাত।
উত্তম স্ত্রী সেই,
যার দিকে তাকিয়ে স্বামী আনন্দিত হয়।
স্বামী কোনো আদেশ করলে – তা পালন করে
এবং স্বামী যা অপছন্দ করেন স্ত্রী তা করেন।
মেয়েদের কে দেওয়া উপহারের মধ্যে,
সবচেয়ে বেশি মূল্যবান উপহার হলো সম্মান,
কিন্তু এত মূল্যবান উপহার দেওয়ার ক্ষমতা সব পুরুষের থাকে না।
ইসলাম বলছে নারী জাতিকে সম্মান দিতে হবে।
রমজান মাসে ইসলাম ৪ টি ভুল এড়িয়ে চলুন
- রেগে থাকা
- সারাদিন ঘুমিয়ে কাটানো।
- নামাজ না পরে রোজা রাখা।
- খারাপ ভাষা ব্যবহার করা।
কোরআনের ছোট ছোট বাণী
বিশ্বের সকল রাস্তা ম্যাপ দেখতে পারলেও,
জান্নাতের রাস্তা কিন্তু একমাত্র পবিত্র কোরআনে-ই দেখতে পারে।
স্ত্রীকে খাইয়ে দেয়া সুন্নত,
ঘরের কাজে সাহায্য সুন্নত,
স্ত্রীর সাথে হাসি মস্করা করাও সুন্নত।
যার জীবনে কষ্ট বেশি,
তার প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা বেশি – কোরআনের উক্তি
জান্নাতে সবকিছু আছে –মৃত্যু নেই,
কোরানে সবকিছু আছে – মিথ্যা নেই। – আল কোরআনের বাণী
যদি রাখো রোজা,
মনটা হবে তাজা ,
যদি পড় নামাজ,
সুন্দর হবে সমাজ।
যদি পড় কোরআন,
শক্ত হবে ঈমান। – কোরআন উক্তি
পর্দাশীল মেয়েরা হলো –
বাবার গৌরব, ভাইয়ের সম্মান,
স্বামীর সম্পদ, সন্তানের আদর্শ
আর জান্নাতে মা ফাতেমার সাথী। – হাদিস কোরআনের বাণী
কোরআনের ভবিষ্যৎ বাণী
কুরআনের শ্রেষ্ঠ বাণী – আল্লাহ বলে
হে আল্লাহ প্রিয় বান্দা,
তোর গুনা যদি মাটি থেকে আকাশ অব্দি সমান হয়।
তার পরেও একবার ও যদি
আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি ক্ষমা করে দিবো।
মাত্র কয়েক দিনের ভালোবাসার জন্য কাঁদছো ;
আল্লাহ’কে ভালোবেসে দেখো –
তিনি কখনোই তোমাকে কাঁদতে দিবে না।
অহংকার নিয়ে কোরআনের বাণী-
যে মাটি আজ আমাদের পায়ের নিচে,
সেই মাটি যে কোনো সময়,
আমাদের উপরে যেতে পারে।
আমাদের কিসের এত অহংকার …?
কিসের এত বাহাদুরি ….?
পৃথিবীতে ঐ দুটি হাত বেশি দামি,
যে হাত মহান আল্লাহর কাছে, ক্ষমা প্রার্থনা করে।
যে ব্যক্তি অন্যের ক্ষতি করবে,
আল্লাহ তার ক্ষতি করবেন
এবং যে ব্যক্তি অন্যকে কষ্ট দিবে,
আল্লাহ তাকে কষ্ট দিবেন। – কোরআনের মধুর বাণী
আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন,
তাকে বিভিন্ন বিপদপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন।
এই সমস্ত বিপদাপদ যারা,
ধৈর্য্য ধারণ করে, তাদের সাথে পৃথিবীর কেউ থাকুক বা না থাকুক;
মহান আল্লাহ তার সাথে আছেন। – পবিত্র বাণী
তর্ক যদি করতেই হয়,কোনো জ্ঞানীর সাথে করো।
জিততে না পারলেও ,কিছু শিখতে পারবে।
মূর্খের সাথে ,তর্ক করার অর্থ – নিজেকে মূর্খ প্রমাণিত করা। – বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি
নামাজ নিয়ে কোরআনের বাণী | হাদিসের বানী কোরআনের বাণী
জান্নাতে রাইয়ান নামে একটি দরজা আছে,
সে দরজাটি দিয়ে, শুধুমাত্র রোজাদার ব্যক্তিরাই প্রবেশ করবে ..!
জান্নাতে আছে তালা ,জাহান্নাম আছে খোলা।
যদি চাবির সন্ধান চাও, আজান শুনে নামাজে যাও। – নামাজ নিয়ে কোরআনের বাণী
যে ব্যক্তি রোজা রাখা অবস্থায় মারা যাবে,
আল্লাহ তাকে কিয়ামত পর্যন্ত সকল রোজার স্যার দেন করবেন।
যে ব্যক্তি নিজের তৃপ্তি সহকারে খাবার খায় ,
অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুদার্থ,
ওই ব্যক্তি ঈমানদার নয়।
১৭ শ্রেনীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না – পবিত্র কুরআন
- প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচরণ কারী।
- পিতা -মাতার অবাধ্য সন্তান।
- আত্মীতার সম্পর্কে ছিন্নকারী।
- হারাম দিয়ে দেহ গঠনকারী।
- উগ্রতা/ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার কারী।
- যে শাসক প্রজাদেরকে ধোকা দেয়।
- অনন্যার সম্পদ আত্মসাৎ কারী।
- উপকার পর খোঁটা দানকারী।
- চোকল খোর ,যে অন্যর দোষ বলে বেড়ায়।
- যে নিজের পিত-মাতাকে, বাদ দিয়ে অন্য কাউকে, পিত -মাতা হিসাবে গ্রহণ করে।
- দাম্ভিকতা বা অহংকারী।
- যে রাসূল সাঃ কথাকে সবকিছুর উপর প্রাধান্য দেয় না বা দিতে চায় না।
- যে মহিলা কথায় কথায় অকারনে স্বামীর কাছে তালাক চায়।
- যে আলেম দুনিয়ার অর্থ বা সম্মানের লাভের জন্য জ্ঞান শিখেছে।
- কালো কল্প ব্যবহার কারী।
- লোক দেখানোর উদ্দেশ্য আমল কারী।
- যে ওয়ারিশকে সমম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে।
আল্লাহ বলেছেন, আমি যাকে ধন সম্পত্তি দিয়েছি, সে বেশি ভাগ্যবান নয়।
ভাগ্যবান, সেই ব্যক্তি যাকে আমি ধার্মিক, একজন জীবন সঙ্গী দিয়েছি।
পবিত্র কোরআনের উপদেশ বাণী বা পবিত্র কোরানের বাণী পড়ে উপকৃত বা ভালো লাগলে অবশ্যই, আপনার প্রিয় জনের সাথে শেয়ার করুন।
সাথে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন
এরকম নতুন নতুন আপডেট পেতে Barman360.com এর সাথে থাকুন। 🙏