ভালো থাকার উপায় কি – প্রতিদিন কিছু না কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন। দৈনন্দিন জীবনে কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যা জীবনে চলার পথে কাজে লাগে।
যেমন খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা, প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা, সুস্বাদু খাবার খাওয়া এবং মেডিটেশন খুব ভালো অভ্যাস। এই সব অভ্যাস গড়লে প্রতিদিন ভালো থাকবেন, শরীর ও মন থাকবে প্রাণবন্ত।
জীবনে সফল হওয়ার উপায় বা জীবন বদলানোর উপায় – যতটা সম্ভব ভালো ভালো জিনিস নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। ছোট-বড় সবার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। আর নিজেকে কখনই ছোট ভাববেন না। পুরোনোকে নতুন কতটা ভালো করে, শেখার মাধ্যমে নিজেকে ইতিবাচক কাজে ব্যস্ত রাখুন।
কারো জন্য কিছু থেমে থাকেনা, প্রত্যেকের জীবনে একটা লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন।
আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য – দিনের ২৪ ভাগের ১ ভাগ ব্যয় করুন।
দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি নিজের জন্য মাত্র ১ ঘন্টা বা ৬০ মিনিট,
আর বছরে ৩৫০ ঘন্টাও যদি ব্যয় করেন।
তাহলে দেখবেন বছর শেষে এক্সট্রা পাওয়ার গেইন হয়েছে।
কি করলে ভালো থাকবো – নিজেকে ভালোবাসুন, সৎ পথে থাকুন, স্রষ্টার দিকে ফিরে যান,
পরিবারের দায়িত্ব পালন করুন। কারণ একমাত্র পরিবারই আপনার সাথ দেবে সুখ দুঃখে।
নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয় – এর মানে আপনি যদি ভালো থাকতে চান। তাহলে প্রথমে আপনি নিজে থেকে মানতে হবে – যে আপনি নিজে সুখী !
আর আপনার কাছে যা আছে, তা নিয়ে আপনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
যেটা পাওয়ার নয় সেটা নিয়ে বেশি ভাবাও উচিত নয়।
আর সবচেয়ে মূল বিষয় হচ্ছে, অন্য কাছ থেকে আশা কম করতে হবে!
আর কাজ বেশি করতে হবে !
সব সময় মনে রাখবেন, অন্যকে নিয়ে আলাপ আলোচনা বা সমালোচনা করবেন না। আর যদি করতেই হয়, সেই মানুষের ভালো দিক নিয়ে আলোচনা করুন। এতে ইতিবাচক মনোভাব আসবে …
কি করলে ভালো থাকবো বা কি করলে ভালো থাকা যায় ( ভালো থাকার উপায় কি )
কি করলে সবাই আমাকে ভালোবাসবে নিচে দেওয়া উক্তি গুলি একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ভালো থাকতে কি লাগে ?
সবসময় নিজের অবস্থার চেয়ে, আরো খারাপ অবস্থার সাথে নিজের অবস্থাটা তুলনা করা।
কিছু পাওয়ার আশা নিয়ে, কাউকে সাহায্য করা থেকে – বিরত থাকা।
কল্পনা আর বাস্তবের মধ্যে যে ব্যবধান রেখা রয়েছে। সে রেখাকে স্পষ্ট করে দেখার চেষ্টা করা।
একদমই নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত পরিস্থিতি না হলে, অন্যকে রূঢ় কথা বা ব্যবহার দ্বারা আহত না করার চেষ্টা করা।
জীবনে কী পেলাম না, সেটার চেয়ে – আমি জীবনে কি পেয়েছি। সেটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
নিজের পছন্দ, রুচি বা মতামত অন্যের কাছে গ্রহন যোগ্যতা নাও হতে পারে। সেই মানসিকতা নিজের মধ্যে প্রস্তুত রাখতে হবে।
সব সময় কৃতজ্ঞতা বোধকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
আপাত গভীর সম্পর্ক, ভবিষ্যতে প্রয়োজন ভিত্তিক বলে প্রমাণিত হতে পারে, সেই মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে।
কুতর্ককারীর পাল্লায় পড়লে, কালবিলম্ব না করে, রণে ভঙ্গ দিয়ে আত্মসমর্পণ করে, কুতর্ককারীকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেয়ার মতো ইচ্ছে রাখতে হবে।
নিজের সমালোচনাকে গ্রহণ করার মতো মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে।
জীবনে কি করলে ভালো হবে বা কি করলে ভালো থাকবো ! এর উত্তরে নিচে দেওয়া কথা গুলি মেনে চলার চেষ্টা করুন। অবশ্যই জীবনে ভালো ফল পাবেন।
কাজ করুন তবে,কাজের জন্য জীবনকে হারিয়ে ফেলবেন না –
জীবনে বেঁচে থাকতে যেমন কাজ করতে হবে। ঠিক তেমনি বেঁচে থাকাও শিখতে হবে।
কাজের জন্য জীবনকে কোনো সময় হারিয়ে ফেলবেন না।
সাথে বেঁচে থাকার জন্য বিনোদন করতে হবে। ঘুরতে বা বেড়াতে যেতে হবে, মানুষের সাথে মিশতে হবে।
নিত্যনতুন অভিজ্ঞতায় নিজেকে আলোকিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
ব্যার্থতাকে কোনো সময় ভয় পাবেন না।
মনে রাখবেন আমাদের জীবনে অনেক ব্যর্থতা আছে। ব্যর্থতা ছাড়া জীবনে কোনো সময় সফলতা হওয়া যায় না।
জীবনে নানাবিধ সমস্যা আসবেই, এই জীবনে পথটা আঁকাবাঁকা ও বন্ধুর হয়। তার মাঝেও চেষ্টা করতে হবে ভালো থাকার জন্য।
কখনো হিংসা করবেন না …
আমাদের জীবনে ব্যর্থতার কারণে আমরা অন্যদের হিংসা করি। সেটা কখনো সজ্ঞানে আবার কখনো জেনেশুনে।
হিংসায় বশবতী হয়ে এমন কোন কাজ করবেন না যা অপরের ক্ষতি হয়।
মনে রাখবেন – হিংসা করে কখনই সুখী বা সফল হওয়া যায় না। তাই জীবনে হিংসা ত্যাগ করতে শিখুন।
কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করবেন না –
নিজেকে কোনো সময় অন্যের সাথে তুলনা করবেন না –
এতে অনেক সময় আমরা অনেকেই ভেঙে পড়ি – যেমন আমরা নিজেদের অন্যের সাথে তুলনা করতে দারুন পছন্দ করি।
কখনো তুলনা করে নিজেকে এগিয়ে রাখি, আবার তুলনায় পিছিয়ে পড়ি।
নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করে অসুখি হবেন কেন ?
এটা সঠিক জিনিস নয় – জীবনকে জীবনের মতো করে চলতে দিন।
ভালো থাকার উপায় কি – কি করব জীবনে, কি করলে ভালো থাকবো এই পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর আপনাদের কোনো মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।