কিছু বাস্তব সত্য কথা 

কিছু বাস্তব সত্য কথা – মানুষের জীবনের কিছু বাস্তব সত্য কথা –
চল্লিশের পর আর শিক্ষাগত শংসাপত্রের কোন দাম নেই। দাম কর্ম দক্ষতার।
পঞ্চাশের পর সৌন্দর্যের দাম নেই। যতই সাজুগুজু করা হোক না কেন চোখের কোণে কালি পড়বেই, গাল ভাঙবেই।
ষাটের পর অবসর। তখন আর পুরানো চেয়ারটার দাম নেই। ব্যাংকের ম্যনেজার আর গ্রুপ ডি-এর একই পরিচয় প্রাক্তন ব্যাংক কর্মী। 

সত্তরের পর বড় বাড়ি আর ছোট বাড়ির কোন তফাত নেই। কারণ ছেলে-মেয়েরা সব বাইরে। বাড়িতে শুধু বুড়ো-বুড়ি।
আশিতে টাকা থাকলেও তার দাম নেই। হাঁটা চলার ক্ষমতা থাকেনা। তখন দরকার জন বল
নব্বইয়ের পর বিছানায় পড়ে থাকা। তখন ঘুমানো আর জেগে থাকায় কোন তফাত নেই।
তো কিসের এত অহংকার !!

বাস্তব সত্য কথা উক্তি –

পুত্র কে চেনা যায়-বিবাহের পর 
স্বামীকে চিনবেন-স্ত্রীর অসুস্থতায় 
স্ত্রীকে চিনবেন-স্বামীর দারিদ্রতায় 
কন্যাকে চিনবেন-যৌবনে 
বন্ধুর পরিচয়-বিপদে
আর সন্তান চেনার উপযুক্ত সময় হলো বার্ধক্য..!!

কিছু বাস্তব সত্য কথা, আবেগ ও বাস্তবতা অর্থ কি, মধ্যবিত্ত জীবনের কথা, অপমান নিয়ে উক্তি, প্রতিশোধ কি, কষ্টের স্ট্যাটাস
বাস্তব সত্য কথা

আবেগ ও বাস্তবতা অর্থ কি

প্রকৃত ভালোবাসা আবেগ দ্বারা হয় না…
আবেগ ও বিবেক এর মধ্যে অনেক তফাৎ,
আবেগের ভালোবাসা কখনো শান্তি বয়ে আনে না…
যদিও ভালোবাসার আঙিনা আবেগ দিয়ে ঘেরা।

প্রকৃত ভালোবাসা আবেগ দ্বারা হয় না…
আবেগ ও বিবেক এর মধ্যে অনেক তফাৎ,
আবেগের ভালোবাসা কখনো শান্তি বয়ে আনে না…
যদিও ভালোবাসার আঙিনা আবেগ দিয়ে ঘেরা।

আবেগ দিয়ে কখনো জীবন চলে না…
জীবন চলে বাস্তবতা দিয়ে, কিন্তু সেই বাস্তবতা অনেক কঠিন।
বাস্তবতা সবসময়ই কল্পনার বিরোধিতা করে…
কারণ বাস্তবতা সবসময় বাস্তবতার ওপরেই বিশ্বাস রাখে।

বাস্তবতা শুধু একটা কথায় বলে…
“তুমি সেই স্বপ্ন দেখবে, যে স্বপ্ন পূরণ করার সামর্থ্য তোমার কাছে আছে…
সেই স্বপ্ন কখনো দেখা উচিৎ নয় যে স্বপ্ন পূরণ করার সামর্থ্য শুধু কল্পনার জগতেই আছে বাস্তবতাই নেই।”

আবেগ এবং বাস্তবতা প্রত্যেক মানুষের মাঝেই প্রবেশ করে, কিন্তু আবেগের বসবাস ক্ষণিকের জন্য…
আর বাস্তবতার বসবাস মানুষের জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, মানুষ মরে যাবে কিন্তু
বাস্তবতা রয়ে যাবে।

আবেগ মানুষের ইচ্ছে অনুযায়ী কথা বলে…
আর বাস্তবতা বাস্তব অনুযায়ী কথা বলে। আবেগের বাতাস মানুষকে ঘুমিয়ে দেয়…
বিবেক আর বাস্তবতার বাতাস মানুষকে জাগিয়ে দেয়।

 একাকীত্ব দূর করার উপায় (কিছু বাস্তব সত্য কথা)

👉 একাকীত্ব অর্থ কি – একাকীত্ব মানে এটা নয় যে, তোমার পাশে কেউ নেই ! 
একাকীত্ব মানে – তোমার পাশে সবাই আছে, কিন্তু তুমি যাকে চাও সে তোমার পাশে নেই !

কি ভয়ংকর এই একাকীত্ব
যে ব্যক্তির মনে একাকীত্ব কাজ করে, সে ব্যক্তির মনে শয়তান খুব সহজে বাসা তৈরী করে। 
যেমন করে শেয়াল ফাঁকা মাঠে মুরগী শিকার করে।

একাকীত্ব জীবন – যেমন করে ব্যক্তির মনকে পাথরের মতো নীরব এবং শক্ত করে দেয়…
ঠিক তেমনি এই একাকীত্ব আগুন হয়ে ব্যক্তির মনকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়।

একাকীত্ব দূর করার উপায়
এমন কিছু করুন যাতে মনোযোগ সরে যায়। একাকীত্ব হচ্ছে একটি অস্থায়ী অনুভূতি। 

আপনি কেন একাকীত্ব অনুভব বোধ করেন,সে ব্যাপারে জানুন। 
প্রতিটি মানুষের একাকীত্বের কারণ আলাদা আলাদা হতে পারে। প্রতিটি মানুষের ইতিবাচক দিকটি দেখার চেষ্টা করুন। 

অনুভূতি বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করুন। 
অবশ্য এই সমাধানটির কথা সাধারণত তারাই বলেন। যারা একাকীত্ব বোধ করেন না। এ ধরণের সমাধান দেওয়া যতোটা সহজ, বাস্তবে করা ততোটা সহজ না।

কিছু বাস্তব সত্য কথা, আবেগ ও বাস্তবতা অর্থ কি, মধ্যবিত্ত জীবনের কথা, অপমান নিয়ে উক্তি, প্রতিশোধ কি, কষ্টের স্ট্যাটাস
ইসলামিক উক্তি

মধ্যবিত্ত জীবনের কথা বা মধ্যবিত্ত নিয়ে উক্তি

★ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান – সবার চোখের আড়ালে নিঃশব্দে কান্না করা এবং সবার চোখের সামনে নিজেকে হাসিমুখে উপস্থাপন করা।

মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের কষ্টের কথা – .নিজের আধুনিকতা নিয়ে ভাবার আগে পরিবারের কথা ভাবতে হয়, কারণ সে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে।

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান – দোকানে শখের জিনিসটা দেখেও, না দেখার ভান করে। মনে আপসোস নিয়ে এড়িয়ে যাওয়া।

★ মধ্যবিত্ত মানে….মনের মাঝে হাজারো স্বপ্ন আছে…কিন্তু স্বপ্ন পূরণ করার সামর্থ্য নেই।

★ মধ্যবিত্ত মানে….লুকিয়ে রাখা অভিমান, বলতে না পারা ভালোবাসা, না পাওয়ার শত বেদনা। 

মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়ে কিছু কথা – হাসতে গেলেও হিসেবে করে হাসতে হয়। আর কাঁদতে গেলেও হিসেবে করে কাঁদতে হয়। 

অপমান নিয়ে উক্তি

👉 অপমান অর্থ হলো – সেই হাতিয়ার যা ব্যবহার করলে, মানুষের মাঝে তিব্র প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দেয়া যায়।

অপমান ব্যক্তির বুকের মাঝে, সবচেয়ে বাজে অনুভূতি তৈরি করে, 
যখন কেউ অপমান করে…
বুকের মাঝে প্রচুর রাগ 
আর তিব্র কষ্ট মিলেমিশে দিশে হারা হয়ে যায় ব্যক্তির মন।

সব অপমানের জবাব তিক্ত কথা দিয়ে দিতে হয়না…
কোনো কোনো অপমানের জবাব নীরবতা দিয়েও দেওয়া যায়…
ঠান্ডা মাথায় ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি দিয়েও দেওয়া যায়।

কাউকে অপমান করতে নেই, কাউকে করলে সেই অপমান একদিন নিজের কষ্ট, লজ্জা,অপমান আর যন্ত্রণার কারণ হয়ে আসবে।

অপমান অসম্মান করতে যোগ্যতা লাগে না, তবে সম্মান করতে শিক্ষা লাগে। তাই কাউকে অপমান করতে নেই আর সংকোচেরও বিহ্বলতা নিজেরই অপমান। 

প্রতিশোধ কি

 প্রতিশোধ এর অর্থ – প্রতিশোধ হলো সেই আগুন… 
যে আগুন মানুষের বিবেক, আবেগ, মানবিকতা, মানুষত্ব, ভালোবাসা ও মনকে পুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়।

প্রতিশোধ অর্থ – পরিচিত হোক বা অপরিচিত 
কোনো মানুষকে কোনো তিব্র আঘাত করে, 
তার মাঝে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া মানে…
নিজের জীবনে একটি ভয়ংকর অজানা বিপদের আশংকা করা।

যারা জ্ঞানী মানুষ 
তারা অপমানের প্রতিশোধ নেয়, 
শক্তি দিয়ে নয় 
জ্ঞান দিয়ে। — ছোট ছোট নীতি বাক্য

প্রতিশোধ নেওয়া, মানুষ দুই ধরনের হয় – 
১/ শান্ত ও নিরব স্বভাবের 
২/ তেজী, রাগী এবং বিরক্তিকর স্বভাবের, 
তবে শান্ত ও নিরব স্বভাবের মানুষের প্রতিশোধ আগুন খুব ভয়ংকর এবং মারাত্মক হয়।

কষ্টের স্ট্যাটাস

“কষ্ট” এই শব্দটি যার জীবনে প্রবেশ করেছে…
সে মানুষ নিজেকে – পৃথিবীর সব থেকে কষ্টভোগী, মানুষ বলে দাবী করেছে !
প্রত্যেকের কষ্ট প্রত্যেকের কাছেই বড়, 
তাই কারো কষ্টকে, কখনো ছোটো করে দেখা উচিৎ নয়।

কিছু বাস্তব সত্য কথা, আবেগ ও বাস্তবতা অর্থ কি, মধ্যবিত্ত জীবনের কথা, অপমান নিয়ে উক্তি, প্রতিশোধ কি, কষ্টের স্ট্যাটাস, ইসলামিক উক্তি
কষ্টের স্ট্যাটাস

আল্লাহ মানুষকে এত কষ্ট দেয় কেন – 
কারণ আল্লাহ তালা তাদেরই কষ্টকর দিন অতিবাহিত করাতে চান…
যাদের তিনি সুখী দেখতে চান।

যে ব্যক্তি কষ্টকর দিন অতিবাহিত করে না…
সে সুখের দিনগুলোর গুরুত্ব বোঝেনা। – দুঃখ কষ্ট নিয়ে ইসলামিক উক্তি

কষ্ট অর্থ কি – যে ব্যক্তি কষ্টকর দিন অতিবাহিত করেছে… 
কেবল সে ব্যক্তিই কাছের মানুষ গুলোর আসল রূপ দেখতে পেয়েছে। 

কষ্ট নিয়ে ইসলামিক উক্তি – কোনো মানুষই স্বার্থ ছাড়া তোমার পাশে দাঁড়াবে না, 
যখন তুমি ওই মানুষগুলোর স্বার্থ পূরণ করতে অক্ষম হয়ে যাবে…
ঠিক তখনি তুমি তাদের আসল রূপ দেখতে পাবে।

নিজের মনের সকল ধরনের ফিলিং অন্যকে বলে বোঝানো যায়…
কিন্তু কষ্ট অনুভুতি কাউকে বলে বোঝানো যায় না !

কষ্ট অনুভুতি বোঝানোটাও কষ্টের কাজ…
কারণএ কাজে কখনো সফল হওয়া যায় না।

আপনার ভালোলাগা প্রিয়জনের শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x
Scroll to Top